বুক ধড়ফড়ের অনেক কারণ আছে। কখনই বুক ধড়ফড় হয়নি এমন মানুষ পৃথিবীতে একজনও নেই। একটু টেনশনে যেমন বুক ধড়ফড় হয় আবার হার্টের বিভিন্ন অসুখেও এমনটি হয়। হার্টের কারণে বুক ধড়ফড়ের চিকিৎসা না হলে জটিলতা হতে পারে। তাই এই বিষয়ে জানা দরকার সবার।
হৃদরোগ বুক ধড়ফড়ের প্রধান কারণ। তবে থাইরয়েড হরমোনের সমস্যাতেও কিন্তু এমন হয়। থাইরয়েড হরমোন বেড়ে গেলে বুক ধড়ফড় করে।এরকম অনেক রোগী দেখতে পাওয়া যায়। রক্তশূন্যতার অনেক রোগী আমাদের দেশে দেখতে পাওয়া যায় । আয়রনের অভাবেই মুলত আমাদের দেশে রক্তশূন্যতা হয়। মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত, পাইলসের সমস্যা এবং কৃমির আক্রমনে রক্তশুন্যতা হয়। এর ফলে কিন্তু লক্ষণ হিসেবে বুক ধড়ফড় করতে পারে।যে কোনো ধরনের ভয়-ভীতি পেলে মানুষের বুক ধড়ফড় করে। আমাদের সমাজে জটিলতা বাড়ছে । বাড়ছে নানা অস্থিরতা। তাই বলা যায় বুক ধড়ফড় ও বাড়ছে !অত্যধিক মদপান বা বিভিন্ন নেশাজাতীয় বস্তু গ্রহণ এবং বেশ কিছু মেডিসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবেও বুক ধড়ফড় করে। চিকিৎসক এই ধরণের ওষুধ দিলে অবশ্যই রোগীকে বলে দিতে হবে।
তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কিন্তু বুক ধড়ফড় করার প্রধান কারণ হৃদরোগ। টেনশন ছাড়া তাই বুক ধড়ফড় হলেই সঙ্গে সঙ্গে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া উচিত। হৃদরোগের কারণে শুধু যে বুক ধড়ফড় করে তা নয়। এই কারণে শ্বাসকষ্ট,বুকে ব্যাথা, অস্থির লাগা,ঘাম হওয়া , মাথা ঘোরা, মাথা হালকা অনুভব করা, ব্যাথা হাতের দিকে চলে আসা এরকম অবস্থাও হতে পারে। হার্টের বেশ কিছু জটিল রোগের কারণেও মানুষের মধ্যে বুক ধড়ফড় করার মতো লক্ষণ দেখা দিয়ে থাকে । এসবের মধ্যে আছে ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ বা হার্টের ধমনীর সমস্যা,হার্টের বাল্বের সমস্যা,হার্টের জন্মগত ত্রুটি,কার্ডিও মায়োপ্যাথি,মাইয়ো কার্ডাইটিস, হার্টঅ্যাটাক ইত্যাদি।অ্যাজমার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ যেমন- সালবিউটামল ও থিউফাইলিন জাতীয় মেডিসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বুক ধড়ফড় করতে পারে। ।
আরও বেশকিছু কারণে বুক ধড়ফড় করতে পারে। যদিও বিভিন্ন কারণে বুক ধড়ফড় হয়ে থাকে তবুও এমন হলে অবশ্যই চিকিৎসক দেখাতে হবে। চেকআপের মাধ্যমে হৃদরোগ আছে কিনা তা অবশ্যই নির্ণয় করতে হবে। কারণ হৃদরোগের কারণে বুক ধড়ফড় সবচেয়ে মারাত্মক। তাই অবহেলা নয়। একটু অবহেলায় হারাতে হতে পারে প্রিয়জন। আমাদের সকলকে এই বিষয় নিয়ে সচেতন হতেই হবে।
No comments:
Post a Comment