সামনে রাখা প্লেটে যখন নানা পদের মজাদার খাবার থাকবে তখন এর লোভ সামলানো মোটেও সহজ নয়, তবে আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তবে সাবধান তো হতেই হবে। কোনো কোনো স্বাস্থ্যকর খাবারও আছে যা খেলে রক্তে সুগার লেভেল বেড়ে যায়। তাই বলা হয় ডায়াবেটিস ম্যানেজমেন্ট বেশ কঠিন।
ডায়াবেটিস থাকলে আপনাকে খেতে হবে ফাইবার সমৃদ্ধ ফল ও সবজি। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু নেই যা আপনাকে খাবার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তবে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে পরিমিত। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, লাল মাংসের চেয়ে উদ্ভিদভিত্তিক খাবার গ্রহণ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
এখানে কিছু উদ্ভিদভিত্তিক কম শর্করাযুক্ত খাবার সম্পর্কে বলা হলো যা ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে সুপারফুড হিসেবে কাজ করে এবং যা আপনার রক্তে সুগার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করে :
মিষ্টি আলু: উচ্চ মাত্রার কার্ব সামগ্রী থাকার কারণে মিষ্টি আলু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী নয় বলে মনে করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে এটি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এতে থাকা কমপ্লেক্স কার্ব উপকারী কার্ব হিসেবে পরিচিত যা দ্রুত বিপাক হয় না এবং রক্তের সুগার মাত্রা স্থিতিশীল রাখে। মিষ্টি আলুর গ্লাইকেমিক সূচক ৫৫- এর চেয়েও কম যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে।
সবুজ শাকসবজি: সবুজ শাকসবজিতে থাকে স্বাস্থ্যকর ফাইবার যা ক্ষিদে মেটাবে এবং শরীরের অস্বাভাবিক ব্লাড সুগার জমতে দেবে না। সবুজ শাকে গ্লাইকেমিক ইনডেক্স মাত্র ১৫। ক্যালোরি কম হওয়ার কারণে সবুজ শাক ওজন কমাতেও সাহায্য করে যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকার ক্ষেত্রে অনুকূল।
চিয়া বীজ: এই সুপার বীজ ফাইবার, দস্তা, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামে সমৃদ্ধ। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ রোধী উপাদান ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চমৎকার কাজ করে। এটি রক্তে সুগার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ডায়াবেটিস সম্পর্কিত অন্যান্য উপসর্গ দূর করে। তাই প্রতিদিন উদ্ভিদভিত্তিক এই উপাদানটি আপনি স্মুদি তৈরি এবং সালাদে যোগ করতে পারেন।
করলা: তিক্ত স্বাদের এই সবজিটি আপনার প্লেটে রসনা তৃপ্তির জন্য মোটেও উপযোগী নয়। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের এটি একটি চমৎকার উপাদান। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে করলার রস খেলে রক্তে সুগার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন করলায় এমন কিছু সক্রিয় পদার্থ রয়েছে যার মধ্যে ডায়াবেটিস রোধী উপাদান বিদ্যমান।
কমলা: আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের মতে, লেবু জাতীয় ফল রক্তে সুগার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চমৎকার কাজ করে। কমলা ফাইবারেও পূর্ণ। এসব ফাইবার সহজে ভাঙে না। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে এটি শরীরে থেকে চিনির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কমলায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। এই ফলটিও ডায়বেটিস রোগীকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম। ভিটামিন সি দেহের সুগারের স্তরকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।
No comments:
Post a Comment